রোববার , ১২ অক্টোবর ২০২৫
Sunday , 12 October 2025
১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কানাডায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার প্রতিবাদে ভার্চুয়াল সভা

কানাডায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার প্রতিবাদে ভার্চুয়াল সভা

বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা, বিচারহীনতা, মব জাস্টিস ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে কানাডায় এক ভার্চুয়াল প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় আয়োজিত এ সভার আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধ গবেষক তাজুল মোহাম্মদ।

সভায় উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহর থেকে যুক্ত হন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, লেখকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বক্তব্যে উঠে আসে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের বর্তমান সংকট, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত এবং রাজনৈতিক নিপীড়নের নানা দিক।

সভায় সূচনা বক্তব্যে তাজুল মোহাম্মদ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের স্মৃতির প্রতি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐক্যবদ্ধ জাতিকে নিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেই যুদ্ধের ফসল ছিল গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা। কিন্তু ৫৪ বছর পর পরাজিত শত্রুরাই আজ সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে আমরা যে নির্বাচন দেখলাম, তাতে বুঝা যায় — এ দেশ আর মুক্ত নয়। এখন সময় এসেছে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নামার।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী বলেন, এক সময় বাংলাদেশ ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। আজ সেখানে আইনের শাসন নেই। ধর্ষণ, মব লিঞ্চিং, মৌলবাদ, দুর্নীতি — এসব এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এই সরকার থাকলে দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ইউনূস সরকারের পতন হওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই সরকার মুক্তিযুদ্ধ, ৭১-এর চেতনা, সংবিধান কিছুই রাখবে না। এমনকি দেশের ভূখণ্ডও আজ বিক্রির মুখে। পাকিস্তান আমলে টিক্কা খান বলেছিল, ‘আমি মাটি চাই, মানুষ দরকার নেই। আজকের সরকার সেই মাটিও রাখবে না।

অধ্যাপক ড. সুধেন্দু বিকাশ দাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধে দুই দাদুকে হারিয়েছি। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ দেখে কষ্ট হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আজ অপমানিত, কারাবন্দি। এ দেশ কি সেই স্বপ্নের দেশ?”

চলচ্চিত্র নির্মাতা রওশন আরা নিপা বলেন, আমাদের পতাকা, জাতীয় সংগীত, সংবিধান এবং মুক্তিযুদ্ধ এগুলোই বাঙালি জাতিসত্তার ভিত্তি। এই অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির জায়গাটা আবার দখল করে নিতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- ভিএজি সভাপতি শাহ মোস্তাইন বিল্লাহ, অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল, ড. সৈয়দ জাহিদ হোসেন, প্রবীণ রাজনীতিক আবুল কালাম আজাদ, সুশান্ত দাস।

এছাড়াও সংহতি জানান- কানাডা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দীপক ধর অপু, সাংস্কৃতিক কর্মী রঞ্জিত মজুমদার, মন্ট্রিয়ল উদীচীর সাধারণ সম্পাদক শর্মিলা ধর, সাংবাদিক সৈয়দা জোহরা শাম্মী।

ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন কানাডা ও উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়