জেনেভায় উগ্র মৌলবাদের ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে পোস্টার প্রদর্শনী

জেনেভায় জাতিসংঘ চত্বরে বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদের উত্থান ও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে দুই দিনব্যাপী পোস্টার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ৬০ তম নিয়মিত অধিবেশনের প্রেক্ষাপটে আয়োজিত এই প্রদর্শনী চলে ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীটির আয়োজন করে জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ফোরাম ফর সেকুলার বাংলাদেশ। সহ-আয়োজক হিসেবে অংশ নেয় বাংলাদেশ মাইনোরিটি অ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস।
বাংলাদেশি ডায়াসপোরা ও সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকে অংশ নেন নজরুল ইসলাম, শ্যামল খান, অরুণ বড়ুয়া, পলাশ বড়ুয়া, সসীম বড়ুয়া, পায়েল বড়ুয়া, রিমি বড়ুয়া ও সুনীল চক্রবর্তীসহ অনেকে।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীতে মোট ৩০টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়, যা পাঁচটি মূল ক্যাটাগরিতে বিভক্ত ছিল: উগ্র ইসলামিক মৌলবাদের উত্থান, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক নির্যাতন, মব সন্ত্রাস ও নারী-শিশু যৌন নির্যাতন
প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা ও মানবাধিকার কর্মী রহমান খলিলুর মামুন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্বজনমতের সামনে তুলে ধরতেই আমাদের এই উদ্যোগ। ভয়াবহ বাস্তবতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য।
প্রদর্শনীতে বিপুল সংখ্যক বিদেশি কূটনীতিক, সহস্রাধিক এনজিও প্রতিনিধি ও শত শত মানবাধিকার কর্মী অংশ নেন। তারা পোস্টারগুলোতে প্রদর্শিত হৃদয়বিদারক ছবি দেখে গভীর ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
ক্যামেরুনের মানবাধিকার কর্মী চোঙহী জোসেফ নারী নির্যাতনের ছবি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, এমন বর্বর ঘটনা মধ্যযুগীয় নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি। আমি ভাষাহীন। বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থা এ ধরনের পৈশাচিকতা প্রশ্রয় দিচ্ছে। নোবেল পুরস্কারজয়ী মোহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে এসব ঘটনা ঘটছে, যা বিশ্বজনমতের কাছে লজ্জাজনক।
অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী ও কূটনীতিক মন্তব্য করেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বর্তমান ড. ইউনূস প্রশাসনের "ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী নীতি"র কারণে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের মতে, দেশটি গৃহযুদ্ধ ও আরও ভয়াবহ মানবিক সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে।