গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ

গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব। ক্লাব নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, “তুহিনের এই নির্মম হত্যাকাণ্ড আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। একজন সাহসী ও দায়িত্বশীল সাংবাদিক হিসেবে তাঁর মৃত্যু শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।”
সোমবার (১১ আগস্ট) লন্ডনের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রেরিত বিবৃতিতে প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ এবং ট্রেজারার সালেহ আহমদ বলেন, তুহিন ছিলেন নির্ভীক ও আদর্শবাদী সংবাদকর্মী। তাঁর প্রতি এই বর্বর আক্রমণ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর এক ভয়ঙ্কর আঘাত।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। আমরা জোর দাবি জানাই, সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিবৃতিতে তারা বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তুহিন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
কি ঘটেছিল ৭ আগস্ট?
গত ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে বাসায় ফেরার পথে সাংবাদিক তুহিন এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হন। সেসময় এক নারীর পক্ষ হয়ে কয়েকজন সশস্ত্র যুবক বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করছিল। ঘটনাটি দেখে তুহিন তা মোবাইলে ভিডিও ধারণ শুরু করেন। বিষয়টি টের পেয়ে যুবকরা তাকে ধরে ফেলে এবং ভিডিও মুছে ফেলতে বাধ্য করে। তুহিন এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ঘটনাস্থলেই এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহত মো. আসাদুজ্জামান তুহিন ছিলেন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি। পাশাপাশি তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি দুই সন্তানের জনক ছিলেন।