রোববার , ১২ অক্টোবর ২০২৫
Sunday , 12 October 2025
১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ৭ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

যুদ্ধবিরতির জন্য প্রধান যেসব শর্ত দিলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

গাজা উপত্যকায় চলমান ভয়াবহ সংঘাত থামাতে আলোচনার টেবিলে বসেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। মিসরের উদ্যোগে শারম আল শেখ শহরে এই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসর অংশ নিচ্ছে। আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে হামাস তাদের যুদ্ধবিরতির ছয়টি প্রধান শর্ত উপস্থাপন করেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহোম এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের প্রতিনিধিরা মিসরে যুদ্ধ থামাতে "সব বাধা অতিক্রম" করার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তারা ছয়টি মূল শর্ত দিয়েছে, যেগুলো মেনে না নিলে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।

 

হামাসের উত্থাপিত ছয় দফা শর্ত:

১. স্থায়ী ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে।

২. ইসরায়েলি সেনাদের গাজার সব এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।

৩. গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠানোতে কোনো বাধা থাকবে না।

৪. বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার অধিকার দিতে হবে।

৫. গাজা পুনর্গঠনের কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে, যার দেখভাল করবে একটি ফিলিস্তিনি জাতীয় প্রশাসন।

৬. বন্দি বিনিময়ের একটি ন্যায্য চুক্তি করতে হবে, যেখানে উভয় পক্ষের বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।

হামাসের মুখপাত্র বারহোম অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অতীতেও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নষ্ট করেছেন, এবারও তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে একই কাজ করছেন। তিনি বলেন,

গাজাবাসীর বিরুদ্ধে বর্বর হামলা, গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির পরও ইসরায়েল একটি ভুয়া বিজয়ের চিত্র আঁকতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমাহীন সমর্থনেও তারা গাজায় জয় পায়নি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েল ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। গত দুই বছরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দুই পক্ষের মধ্যে একটি সম্ভাব্য সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতে পারেযদি উভয় পক্ষই নমনীয়তা দেখায়।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়