রোববার , ১২ অক্টোবর ২০২৫
Sunday , 12 October 2025
১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তুরস্কে এরদোয়ানবিরোধী বিক্ষোভ: আঙ্কারার রাস্তায় লক্ষাধিক মানুষ

তুরস্কে এরদোয়ানবিরোধী বিক্ষোভ: আঙ্কারার রাস্তায় লক্ষাধিক মানুষ

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে রাজধানী আঙ্কারায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাজার হাজার মানুষ শহরের তান্দোয়ান স্কয়্যারে জড়ো হয়ে এরদোয়ানবিরোধী স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেয় প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)।

 

বিক্ষোভকারীরা এরদোয়ানকে “স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানান। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিএইচপির প্রেসিডেন্ট ওজগুর ওজেল। তিনি বলেন,আদালত সরকারের চাপেই রায় দিয়েছেন। এই রায় সংবিধান ও গণতন্ত্রউভয়ের বিরুদ্ধে। আমরা রুখে দাঁড়াব।

বিক্ষোভের পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক এক বিতর্কিত রায়। ২০২৩ সালে সিএইচপির দলীয় কংগ্রেসে গঠিত নতুন কমিটিকে সম্প্রতি অবৈধ ঘোষণা করে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালত। অভিযোগভোটে অনিয়ম ও অবৈধ অর্থ লেনদেন। সিএইচপি দাবি করেছে, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধীদের দমন-পীড়নের একটি কৌশল।

সিএইচপির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা একরেম ইমামোগ্লু বর্তমানে কারাবন্দি। ২০২৫ সালের মার্চে তাকে দুর্নীতি, ঘুষ, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। বিরোধীরা মনে করে, ২০২৮ সালের নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হতেন ইমামোগ্লু।

কারাগার থেকে এক বিবৃতিতে ইমামোগ্লু বলেন, স্বৈরতন্ত্রের দিন শেষ। একজনের কণ্ঠ রোধ করলে হাজার জন আওয়াজ তুলবে।

তুরস্ক সরকার সিএইচপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকারের ভাষ্য, আদালত স্বাধীনভাবে রায় দিয়েছেন এবং এতে প্রেসিডেন্টের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৮ সালের নির্বাচনে নিজের অবস্থান পোক্ত করতেই এরদোয়ান বিরোধীদের দমন করছেন। সরকারি তথ্যমতে, গত এক বছরে সিএইচপির প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৭ জন মেয়রও রয়েছেন।

 

সমাবেশে ওজগুর ওজেল বলেন, আগাম নির্বাচন চাই। জনগণ সিদ্ধান্ত দিকস্বৈরতন্ত্র না গণতন্ত্র।

তুরস্কের রাজনীতি এখন উত্তাল। আন্দোলন চলতে থাকলে এরদোয়ান সরকারকে বড় চাপে পড়তে হতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়