উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে কোটি টাকার ডাকাতির রহস্য উদঘাটন, নগদ অর্থসহ গ্রেফতার ৫

রাজধানীর উত্তরা থেকে র্যাব পরিচয়ে এক কোটি আট লক্ষ টাকার ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে ঘটনার মাত্র চার দিনের মাথায় দুর্ধর্ষ এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং উত্তরা বিভাগ ও উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ২২ লক্ষাধিক টাকা, একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আরও ১২ লক্ষ টাকা।
ডিএমপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৪ জুন সকাল ৯টার দিকে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের সংযোগস্থলে ‘র্যাব’ লেখা কটি পরিহিত ও অস্ত্রধারী ছদ্মবেশী ডাকাত দল নগদের কর্মীদের গতিরোধ করে চার ব্যাগে থাকা বিপুল পরিমাণ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। তারা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে অপহরণ করে তুরাগ থানার এক নির্জন স্থানে ফেলে রেখে টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিবির তদন্তে উঠে আসে, ঘটনার পেছনে রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দল যার নেতৃত্বে রয়েছে মোস্তফা ওরফে শাহিন, যিনি চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য। তার সঙ্গী শেখ মো. জালাল উদ্দিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট।
ধারাবাহিক অভিযানে প্রথমে মাইক্রোবাস চালক মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয় খিলগাঁও থেকে। এরপর ডিবি উত্তরা বিভাগের চৌকস দল তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শাহিন, শরীফ, জালাল এবং সাইফুল ওরফে শিপনকে গ্রেফতার করে। অভিযানে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২২ লক্ষ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, র্যাব-পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড, লাঠি, সিগনাল লাইট, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ও ব্যাংকের চেকবই।
জানা যায়, চক্রটির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে র্যাব ও পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং ঘটনার বাকি জড়িতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।