টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে হস্তক্ষেপের হুঁশিয়ারি ব্রিটিশ মন্ত্রীর

পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে প্রয়োজন হলে সরাসরি সরকারি কমিশনার পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটেনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জিম ম্যাকমাহন ।
এক বছর আগে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ওপর একটি পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়, রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের অভাবে কাউন্সিল কার্যত একটি ‘অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীর’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে আছেন মেয়র লুৎফুর রহমান, যিনি অ্যাসপায়ার পার্টির প্রধান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নির্বাচনী দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে লুৎফুর রহমানকে জনসেবা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে তিনি আবারও মেয়র নির্বাচিত হন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সরকারের নিযুক্ত পর্যবেক্ষক দল কাউন্সিলের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তারা জানিয়েছেন, কিছু অগ্রগতি হয়েছে এবং কাউন্সিলের কর্মীরা “নিজেদের কাজ নিয়ে গর্বিত ও আন্তরিক”।
তবে তারা একইসাথে উল্লেখ করেন, কাউন্সিলরদের “অশোভন আচরণ” উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে।
পর্যবেক্ষক দলের মে মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেয়র লুৎফুর রহমানের একটি "স্পষ্ট রাজনৈতিক ম্যান্ডেট" রয়েছে। তবে কাউন্সিলরদের দলবদলের ফলে রাজনৈতিক টানাপড়েন বেড়েছে এবং সভাগুলোতে যে আচরণ দেখা যায়, তা "সাধারণ রাজনৈতিক নাটকের চেয়েও অনেক দূর চলে গেছে"।
মন্ত্রী জিম ম্যাকমাহন বলেন, “শুরুর এই অগ্রগতিকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু এখনও সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মীদের পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি। তাই প্রয়োজন হলে আমি হস্তক্ষেপ বাড়াতে বাধ্য হবো।”
তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি না পাল্টালে তিনি সরকারি কমিশনার নিয়োগ করে কাউন্সিলের পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, এক বিবৃতিতে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল জানিয়েছে, “আমরা সরকারের সহায়তায় কাজ করে যেতে প্রস্তুত এবং এখন পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে, তা আমরা স্বাগত জানাই। তবে আমরা স্বীকার করি—আরও অনেক কিছু করার রয়েছে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মুহূর্তে কাউন্সিলে আর্থিক সংকট নেই বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা, তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে জরুরি ভিত্তিতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন।