পাকিস্তানের ঘুম কেড়ে ভারতকে বড় অস্ত্র দিলেন ট্রাম্প
পাকিস্তানের ঘুম কেড়ে ভারতকে বড় অস্ত্র দিলেন ট্রাম্প

পহেলগাও ইস্যুতে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। যে কোনো সময়ে পাকিস্তানের উপর আঘাত হানতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর এই উত্তেজনার মধ্যেই আরও শক্তিশালী ভারত। ভারতের সঙ্গে বড়সড় সামরিক চুক্তি সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে ১৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা) মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক হার্ডওয়্যার এবং লজিস্টিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন পাওয়া এই সম্ভাব্য চুক্তির আওতায় ‘ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়্যারনেস’ বিষয়ক প্রযুক্তি এবং সি-ভিশন সফটওয়্যারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শুক্রবার (০২ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ভারত এই প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম পেতে যাচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতের নৌবাহিনীর সামুদ্রিক সচেতনতা, বিশ্লেষণ সক্ষমতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সফটওয়্যার ভারতকে তার সমুদ্রসীমায় বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলায় সক্ষম করে তুলবে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না, তবে ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।’
ভারত সরকারের অনুরোধে যে সামগ্রীগুলো বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সি-ভিশন সফটওয়্যারের হালনাগাদ সংস্করণ, প্রশিক্ষণ ও বিশ্লেষণ সহায়তা, সফটওয়্যার সাপোর্ট, প্রযুক্তিগত দল এবং লজিস্টিক সহায়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, এই চুক্তি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদারে ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, জম্মু ও কাশ্মিরে সম্প্রতি সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে পাকিস্তানকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের এমন সামরিক চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোতেও নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, প্রস্তাবিত বিক্রয় ভারতের সামুদ্রিক ক্ষেত্রে অনেক বেশি সচেতন, বিশ্লেষণাত্মক ক্ষমতা এবং কৌশলগত অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।
বর্তমান এবং ভবিষ্যতের হুমকি সামলাতে আরও বেশি ভারত শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি সেই সময় ট্রাম্প প্রশাসনের এই ছাড়পত্র খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।